বছরব্যাপী চলবে করোনার টিকা কার্যক্রম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

দিনে দিনে করোনার টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে-এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এই টিকা কার্যক্রম দেশজুড়ে বছরব্যাপী চলবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতলে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উদযাপন এবং ব্র্যাকিথেরাপি ও সিটি সিমুলেটর মেশিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজ পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা নিতে অনলাইনে দেড় লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, টিকা নিতে মানুষের এখন আগ্রহ বাড়ছে, এর প্রভাব পড়ছে টিকা নিবন্ধনেও। আজ পর্যন্ত (৪ ফেব্রুয়ারি) দেড় লাখ মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আর যাদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে সমস্যা হবে, তাদের জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, রবিবার থেকে জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। টিকা আমরা পর্যাক্রমে দিয়ে যাবো। এখানে আমাদের হাতে ৩০ লাখ টিকা আছে নাকি ৭০ লাখ আছে সেটা বিষয় না, টিকা আসতে থাকবে আর আমরা দিতে থাকব। বছরব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

জাহিদ মালেক বলেন, সেরাম থেকে আমাদের ক্রয় করা আছে তিন কোটি টিকা। আরও ছয় কোটি টিকা পাবো কোভ্যাক্স থেকে। কাজেই কখন কত টিকা দেবো সেই হিসেব এখন করা ঠিক হবে না।

ক্যান্সারের চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা আধুনিকায়নের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আট বিভাগে আটি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল হবে। এর মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীদের যাতে কষ্ট কমে, সবাইকে যেন চিকিৎসার আওতায় আনা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকার স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করেছে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে পারলে, মানুষ চিকিৎসা নিতে আর বিদেশ যাবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশীদ আলম,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ)র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা কাজী মুশতাক হোসেন।