ফাঁসির রায় শুনে আদালতে ভাংচুর চালাল ৫ আসামি

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। এ রায় শুনে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে কাঠগড়ার গ্লাসে ভাংচুর চালায়। এছাড়া তারা বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে সামাল দিয়ে কারাগারে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান রায় ঘোষণার পর এ ঘটনা ঘটে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো– মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, হাসমত আলী শেখ। এ মামলায় নাইনুল ইসলামকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হলেও ক্ললেস মামলা হওয়ায় তদন্তে পুলিশকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিলম্ব হলেও প্রকৃত অপরাধীদের বড় অংশের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পেরেছিল পুলিশ। সে মোতাবেক আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পেরেছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমেদের বাড়িতে একদল মুখোশধারী অতর্কিত আক্রমণ করে। ওই দিন সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি আঘাতে তাৎক্ষণিক নিহত হন সুলতান মণ্ডল, ভাতিজি রোমানা, ভাগ্নি আনিকা। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন সুলতান মণ্ডলের স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং মেয়ে নীলিমা আক্তার মৌসুমী।

চিৎকার ও কান্নাকাটিতে আশাপাশের লোকজন এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভ্যানযোগে পাগলাহাট, সেখান থেকে তাদের স্থানান্তর করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পথে হাজেরা খাতুন মারা যান। নীলিমা আক্তার মৌসুমীকে রমেকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সুলতান মণ্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।