সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ পাচ্ছে সৌদি নারীরা

সৌদি আরবের নারীরা এখন থেকে অস্ত্র বহন করতে পারবে এবং সামরিক বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সৌদি কিংডমের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটির নারীদের জন্য সামরিক পেশায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হলো।

সৌদিভিত্তিক আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি নারীরা এখন থেকে সৈনিক হিসেবে, ল্যান্স করপোরাল, সার্জেন্ট এবং স্টাফ সার্জেন্ট হিসেবে নিয়োগ লাভের সুযোগ পাবে। নারীদের সেনাবাহিনীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ওজন এবং উচ্চতা থাকার পাশাপাশি কমপক্ষে মাধ্যমিক স্কুল সমাপ্ত করা প্রয়োজন হবে। বিদেশি নাগরিক বিবহিত নারীরা সেনাবাহিনীতে প্রবেশ করতে পারবে না।

সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আরবকে বিশ্বের সর্বাধিক বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটির নারীদের কর্মশক্তি হিসেবে ধীরে ধীরে চাকরিতে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করছেন। সৌদি নারীদের জন্য এখন শপিংমলে ক্যাশিয়ার হিসেবে চাকরি করা স্বাভাবিক। পূর্বে রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করা, কফি হাউসে কফি বানানোর পেশাগুলো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি সরকার চাকরির অধিকার এবং ভূমিকা সম্প্রসারণ করছে, যদিও দেশটি ভিন্নমত দমন এবং নারী অ্যাকটিভিস্টদের টার্গেট অব্যাহত রেখেছে।

সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে সৌদি নারীদের সেনাবাহিনীতে প্রবেশের অনুমতির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। একই বছর সৌদি নারীরা পুরুষদের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে ভ্রমণের অনুমতির ঘোষণা দেয়। সৌদি আরবের রক্ষণমূলক অভিভাবক পদ্ধতি দেশ এবং বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়। এর আগে সৌদি আরব ২০১৮ সালে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধানের ফলে দেশটির অর্থনীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ বিলিয়ন ডলার যুক্ত করবে বলে ব্লুমবার্গ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।

গত বছর সৌদি আরবের বিচার মন্ত্রণালয় ১০০ জন নারীকে নোটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়। এছাড়া সৌদি কর্মকর্তারা দ্রুত নারী বিচারক নিয়োগ দেয়ার কথা জানিয়েছে। অতীতে সৌদি নারীদের কর্মের ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। ২০১১ সালে সকল প্রসাধনী এবং অন্তর্বাসের ব্যবসা শুধুমাত্র নারী কর্মীদের জন্য বৈধ করা হয়।