যে বিষয়ে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন মোশাররফ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। বছরজুড়েই নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকতে চায় দলটি। এ কর্মসূচি পালনে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা চায় রাজপথের এই বিরোধী দল।

বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এ দেশের দলমত নির্বিশেষ সকল পেশা সকল জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন যার যার অবস্থান থেকে। কারণ এই স্বাধীনতা এ দেশের জনগণের প্রস্ফূটিত স্বাধীনতা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, এ দেশের জনগণের জন্য জনগণের স্বার্থে এই স্বাধীনতা। তাই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সবাই উদযাপন করতে চাই।

‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের এসব অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে যাতে করতে পারি, তার জন্য সহযোহিতা চাইব। তেমনিভাবে আমরা সরকারের কাছেও সহযোগিতা চাই, যাতে করে আমরা ৫০ বছর পূর্তির এই যে আমাদের আবেগ, আমাদের যে উচ্ছ্বাস, নির্বিঘ্নে, সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, তার জন্য সরকারের কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’

বুধবার বিকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ। চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।