পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ : ১৩ জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ১৩ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মঞ্জুরুল আলম, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহিরাজ, আহসান হাবিব ভূইয়া রাজু, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিচুর রহমান খন্দকার অনিক, আবু হায়াত মো. জুলফিকার, আতিফ মোর্শেদ ও রমজান।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার লেখক মোসতাক আহমেদ জেলহাজতে মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভকারীরা বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানো ও রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় তারা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেয়। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উভয় গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় গতকাল রবিবার শাহবাগ থানার এসআই পলাশ শাহা বাদী হয়ে ৪৮ আসামির নাম উল্লেখসহ ২০০/২৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।