জনসনের টিকা পেতে আলোচনা চলছে: স্বাস্থ্য সচিব

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি এক ডোজের টিকা পেতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

বুধবার বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, টিকার জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সাথে কথা হয়েছে। তাদের টিকা আমাদের দেশে রাখার মতোই। তবে কোভ্যাক্স ফেসিলিটি এই টিকাকে তাদের সাথে যুক্ত করেনি। এটা এক্সক্লুসিভল তাদের দেশে ব্যবহার করছে। সেটা আমরা কিভাবে আমদানি করবো?

আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোনো সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই আমরা এটা নিয়ে আসবো। এতে করে এক ডোজ করে দেয়ায় আমাদের সময় বাঁচবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনিকার যে টিকা আছে, ওটাই চালিয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের টিকার কোনো সঙ্কট হবে না। এগুলো শেষ হতে না হতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলোও অক্সফোর্ডের টিকাই আনা হবে।

কোভ্যাক্সের টিকা কবে আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা তো জানিয়েছে মার্চ মাসেই টিকা পাঠাবে। আমরাও আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই পাবো। তবে এখনও তারা আমাদেরকে কোনো নির্ধারিত তারিখ জানায়নি। বাংলাদেশে কবে তারা টিকা দেবে এটা বড় কথা নয়, কথা হলো এশিয়ার অন্য কোনো দেশ যদি আগে পেয়ে যায়, তাহলে বলতে পারেন যে, কেন আমরা আগে পেলাম না।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই টিকাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে পারে। তবে সাধারণ আক্রান্ত হওয়ার হার ঠেকাতে সক্ষম ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে।

বেলজিয়ান প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন এটি তৈরি করেছে। এই টিকার সুবিধা হলো, এটিকে সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই সংরক্ষণ করা যাবে।

এই বছরের জুন মাস নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি টিকার ডোজ দিতে সম্মত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাও এই টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোকে দেয়ার জন্য যে কোভ্যাক্স প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সেই প্রকল্পে ৫০ কোটি টিকা কেনার চাহিদা দিয়েছে।