জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই মিয়ানমারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।

বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়। এ নিয়ে লোকজনকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক টুইটারে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। ইয়াঙ্গুনের বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্পোরেশন জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ত্রুটি থেকে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। বিকাল চারটায় সমস্যার সমাধান হয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সামাজিকমাধ্যমের ওপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চেষ্টা করছে জান্তা সরকার, তখন এই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর এসেছে।

এদিকে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরতদের ওপর ফের গুলি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

শুক্রবার মান্দালয়ে এ গুলির ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে জাতিসংঘ বুধবার বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ও সৈন্যদের গুলি এবং সংঘাতে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভে এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত আছে।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে; সেখানকার সংকট নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জাতিসংঘের মিয়ানমার মিশনে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সামরিক জান্তার ব্যর্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরপরই শুক্রবার মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর এ গুলির ঘটনা ঘটল।

অভ্যুত্থানবিরোধীরা এদিনও মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া এবং অং সান সু চিসহ রাজনীতিকদের মুক্তির দাবিতে নানান কর্মসূচি করেছে।