এ রকম অসত্য ভাষণ খুব লজ্জাকর : টুকু

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, ‘লজ্জা লাগে আমারই। উনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী। যেমন করেই হোক, দখল করেই হোক উনি এখন প্রধানমন্ত্রী। একজন মহান নেতার কন্যা। তার মুখে এ রকম অসত্য ভাষণ খুব লজ্জাকর। জাতির জন্যও এটা লজ্জাকর।’

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘একদিকে তিনি (শেখ হাসিনা) বলছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা মেরে ফেলছেন, কিন্তু তখন তো মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের মারল কীভাবে? আবার তিনিই বলছেন, উনাকে (জিয়াউর রহমানকে) বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ওখান থেকে ধরে নিয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা করিয়েছে। তাহলে সেসময় কি কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিলেন না? যে একজন বন্দিকে, যে নাকি মানুষ খুন করেছে তাকে নিয়ে ঘোষণা করাল?’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতে যে লোকটা বেঈমানি করেছে। তাকে নিয়ে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করালেন? আর কোনো লোক ছিল না? আওয়ামী লীগের কোনো লোক ছিল না! যে একজন বন্দিকে নিয়ে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হলো।’

টুকু আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন- জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানে বড় হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানের বাবার বাড়ি আর নানার বাড়ি একই গ্রামে। উনার বাবা ছিলেন ভারত সরকারের অধীনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। জিয়াউর রহমান প্রথম জীবনে পড়ালেখা করেছেন কলকাতায় মিশনারি স্কুলে, সেন্ট জেভিয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। বছর পাঁচেক আগে সেন্ট জেভিয়ার স্কুলে ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই স্কুলের সেরা ছাত্রদের ছবি রাস্তায় টাঙিয়েছিল। সেখানে জিয়াউর রহমানের ছবিও ছিল। তাহলে জিয়াউর রহমান কীভাবে পাকিস্তানে বড় হলেন? এ রকম মিথ্যা কথা আপনার মুখে মানায় না। কারণ যেভাবেই হোক আপনি প্রধানমন্ত্রী। মহান নেতার কন্যা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।