সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে র‌্যাবের ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে র‌্যাব তিন স্তরের (জল, স্থল ও আকাশ) বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সদরদপ্তর থেকে মনিটরিং করা হবে। অনুষ্ঠানে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, সার্বিকভাবে সবধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করে সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সারাদেশে র‌্যাব নিরাপত্তা জোরদার করেছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন ও অনুষ্ঠান শেষেও র‌্যাবের নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, র‌্যাবের স্ব স্ব ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো তথ্য পেলে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম ও অনলাইনের মাধ্যমেও র‌্যাবের সঙ্গে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে। সাদা পোশাক ও র‌্যাবের পোশাকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আগত ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় র‌্যাবের সদরদপ্তর থেকে পাঁচজন অফিসার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশংকা নেই জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড, পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স, স্পেশাল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিও করা হবে। চেকপোস্টে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। এয়ারফোর্সেসের এয়ার উইং ও হেলিকপ্টার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। বিদেশি অতিথিদের সার্বক্ষণিক প্রটেকশন টহল প্রস্তুত থাকবে।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভিভিআইপিরা হোটেল ও যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ্যানুতে যাতায়াত করবেন সবগুলোতে র‌্যাবের কড়া নজরদারি থাকবে। এছাড়াও র‌্যাবের সাইবার ক্রাইম ইউনিট সবসময় নজরদারি করবে।

নরেন্দ্র মোদিবিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেশ ও বৃহত্তর জাতির স্বার্থে আমরা আশা করি তারা এ ধরনের আন্দোলন থেকে বিরত থাকবে। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাঘাত ঘটাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।