ইতিবাচক কিছু্ খুঁজে পাচ্ছেন না তামিম

tamim iqbal

দল হারলে সেখান থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজে নেওয়ার রীতি বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলে আসছে অনেক দিন থেকেই। এবার অন্তত একটু ব্যতিক্রম পাওয়া গেল। নিউ জিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল বললেন, এই ম্যাচ থেকে সামনে বয়ে নেওয়ার মতো তেমন কিছু নেই।
এ দিন দলের পারফরম্যান্সই এমন যে, এই ম্যাচে তাকানো কঠিন। ডানেডিনে শনিবার মাত্র ১৩১ রানের পুঁজি গড়তে পারে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়েই জিতে যায় কেবল ২১.২ ওভারে।

ম্যাচ শেষে ইতিবাচক কিছু না পেয়েও অবশ্য মেহেদি হাসানের বোলিংয়ের কথা একটু বললেন তামিম।

“সত্যি কথা বলতে এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কোনো কিছুই নাই নেওয়ার। যদি আমার কিছু বলতেই হয়, তাহলে মেহেদি যে ৫-৬ ওভারের স্পেল করেছে, ভালো বল করেছে। এছাড়া আমি কোনো কিছু দেখি না যে এখান থেকে নেওয়ার আছে।”

অভিষেক ওয়ানডেতে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি ৬ ওভার বোলিং করে রান দেন ১৭। উইকেট অবশ্য পাননি। ব্যাটিংয়ে আট নম্বরে নেমে প্রথম রানের দেখা পান দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরে। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হন ২০ বলে ১৪ করে।

সিরিজে বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই মঙ্গলবার। এর মধ্যে ডানেডিন থেকে ক্রাইস্টচার্চ ভ্রমণও করতে হবে দলকে। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় তাই খুব কম।

এমন পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে হলে বড় দায়িত্বটা ব্যাটসম্যানদের নিতে হবে বলে মনে করেন তামিম।

“এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে, বোলারদের ডিফেন্ড করার জন্য কিছু দিতে হবে। যদি আমরা এভাবে করে ১৩০ কিংবা ২০০ রানের মধ্যে অল আউট হয়ে যাই, তাহলে সত্যি কথা বোলারদের জন্য কিছুই থাকবে না।”

“প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান থেকে আমাদের একজনের বড় রান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি একজন ইনিংস টেনে নিতে পারে, তাহলে বড় রান করা সম্ভব। ২৬০-২৭০-২৮০ সম্ভব। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান থেকে রান না করলে এটা সব সময়ই কঠিন। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে, যেহেতু এখানকার কন্ডিশন আমাদের দেশ থেকে আলাদা।”