জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানান্তর হবেন না : নৌপ্রতিমন্ত্রী

করোনার সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানান্তর না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। গতবারের চেয়ে একটু বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনার সময়ে জরুরি প্রয়োজন না হলে স্থানান্তর হবেন না।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও স্টিমারসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বৈঠকে এই আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে বা এর ব্যত্যয় ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। গণপরিবহনে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। করোনার সময়ের জন্য লঞ্চের ভাড়া পুননির্ধারণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো কমতি নেই। মানুষের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবহন সেক্টরে মানুষের সেবার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন পাব। নতুন নতুন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।

বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, করোনাভাইরাস জনিত রোগবিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইডলাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাত্রীসহ নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়া ঈদের পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।