লকডাউনে ব্যাংক চলবে কিভাবে জানা যাবে রবিবার

taka

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে সাত দিন লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন দেয়া হবে বলে সকালে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

চলতি সপ্তাহে লকডাউন দেয়া হলে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি। লকডাউনের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হলেই ব্যাংক খাতের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মুখপাত্র বলেন, লকডাউনের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হলেই ব্যাংকিং খাত নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। কিভাবে ব্যাংকগুলো চলবে বা লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে কি সিদ্ধান্ত আসে তা আগামীকাল রবিবার জানা যাবে।

গতবছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। করোনা নিয়ন্ত্রণে গতবছর ২৩ মার্চ প্রথমবার ‘সাধারণ ছুটির’ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা।

সে সময় সব অফিস আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ছুটির মধ্যে সব কিছু বন্ধ থাকার সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিত পায়। কিন্তু তাতে নিম্নবিত্তের জীবন-জীবিকা আর দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়লে বিভিন্ন মহলের দাবিতে সরকার ৩১ মের পর থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। বছরের শেষে এসে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা ছাড়া আর সব কড়াকড়িই উঠে যায়।

এরপর দেশে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসে। মার্চের শেষ দিয়ে করোনা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি হয়। এরপর সেগুলো বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ির ঘোষণা আসতে থাকে।