জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ইরফান সেলিমের আবেদন

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করার ঘটনায় হওয়া মামলায় জামিন স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছেন ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম।

আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আবেদনটি তালিকাভুক্তির এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলায় হাইকোর্ট গত ১৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ইরফান সেলিম আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছেন।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। ঘটনার সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুজন ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় ওয়াসিফের স্ত্রীকেও লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এরপর ওই দিনই ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় ইরফান সেলিম ঢাকার আদালতে জামিনের আবেদন করলে ওই আদালত গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।