করোনার অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই না করে পুরো বেতন দিচ্ছেন নেইমার

neymar

বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে করোনাভাইরাসের আগ্রাসন। কোনোভাবেই এই ভাইরাসকে নির্মূল করা যাচ্ছে না। এই সুযোগ অনেকে কর্মী ছাঁটাই করে অধিক মুনাফার অর্জন করছেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়েও শ্রমিক ছাঁটাই করছে। এ দিক দিয়ে ব্যতিক্রম ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। ব্রাজিলে করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ হলেও তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো কর্মী ছাঁটাই করেননি। বরং পুরো বেতনই দিয়েছেন।

সুবিধাবঞ্চিত তিন হাজার শিশুর দেখভালের জন্য নেইমার অনেক আগেই ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে সেই প্রতিষ্ঠান গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করতেন, তাদের কাউকেই ছাঁটাই করনেনি নেইমার। বরং সবাইকেই পূর্ণ বেতন দিয়ে যাচ্ছেন। এই করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে কেউ বলতে পারে না। তবে নেইমার তার কর্মীদের পুরো বেতন দিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।

ছাঁটাই না করে কর্মীদের পুরো বেতন দিয়ে দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘মার্কা’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পিএসজি তারকা নেইমারের বাবা ও তার এজেন্ট নেইমার সিনিয়র বলেছেন, ‘আমার পরিবার ও আমি প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করছি। যে ১৪২ জন কর্মী আছে, তারা সম্পূর্ণ বেতনসহ অন্যান্য ভাতাও পুরোপুরি পাচ্ছে। মহামারি যতদিনই চলুক না কেন, যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাদের চাকরি ও ভাতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

‘মার্কা’ জানিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেইয়া গ্রান্দে অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত ‘নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট’- এর কর্মীদের বেতন দিতে প্রতি মাসে নেইমারকে ৯০ হাজার ইউরো খরচ করতে হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এই পুরো খরচ এক বছরের বেশি সময় ধরে বহন করে যাচ্ছেন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি তে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়া নেইমার। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।