‘মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যদের দেখভাল কে করছে’, প্রশ্ন ডমিঙ্গোর

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা খারাপ নয়। কিন্তু বাইরে যারা, বরাবরই ব্রাত্য তারা। বাংলাদেশে দেড় বছরের অভিজ্ঞতায় সেটা জানা হয়ে গেছে রাসেল ডমিঙ্গোর। প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে পরিণতি কী হতে পারে, ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। তিনি তাই জানালেন একটি ‘সিস্টেম’ দাঁড় করানোর তাগিদ।

জাতীয় দল থেকে যারা বাদ পড়েন, এই সমস্যা শুধু তাদেরই নয়। যারা সব সংস্করণে খেলেন না, তাদের ভোগান্তিও কম নয়। একটি সংস্করণে খেলেন, এমন ক্রিকেটার এখন কম নয়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় শুধু টেস্টে খেলা ক্রিকেটারদের। প্রায় সময়ই তাদের বিরতি হয় লম্বা। প্রতিবারই তাই নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। সিরিজ শেষ হয়ে যায় ‘নতুন করে’ শুরু করতে করতে।

মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, সাদমান ইসলামরা দেশের হয়ে খেলেন কেবল টেস্টে। এই সংস্করণে বরাবরই কম খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ওই ক্রিকেটারদের তাই মাঠেও নামা হয় কম। জাতীয় দলের কোচদের সঙ্গে কাজও করা হয় না তেমন।

টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কায়। সীমিত ওভারে ক্রিকেটে যারা খেলেন, তারা নেই দলের সঙ্গে। এই বিরতির সময় তারা নিজেদের কতটা প্রস্তুত রাখতে পারছেন, উত্তর খুঁজছেন ডমিঙ্গো।

“জাতীয় দলের সঙ্গে যারা নেই, তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নিয়ে চাচার (খালেদ মাহমুদ) সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহর কথা। ওদের দেখভালের কাজটা কে করছে এখন? ওরা এখন কি করছে? কেমন সুযোগ-সুবিধা এখন ওরা পাচ্ছে?”

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি অবশ্য পুরানো প্রসঙ্গ। ডমিঙ্গো নতুন করে সামনে এনেছেন কেবল। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের একটি ছাতার নিচে এতো দিনেও আনতে পারেনি বিসিবি।

জায়গা হারিয়ে কোথাও থাকেন না ক্রিকেটাররা। তাই ফেরার পথটাও হয়ে যায় অনেক কঠিন। অনেকে অকালেই হারিয়ে যান। তেমন কিছু এড়াতে ডমিঙ্গো চাওয়া, একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

“বিষয়টা বেশ কঠিন। এই জায়গাটায় নজর দেওয়া দরকার। বিভিন্ন দলের অংশ নয়, এমন ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে সেইসব সুবিধা দেওয়া দরকার। আমাদের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ে আমরা সজাগ। আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা এর একটা সমাধান বের করতে পারব।”