গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ

ফাইল ফটো

করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবি জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংগঠনটির নেতারা বলছেন, সবকিছু চালু রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, দেশের সড়কপথের পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহনশ্রমিক কাজ করেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবল গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিকেরা।

এই পরিবহন শ্রমিক নেতা বলেন, করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল, লকডাউনে মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট সব বন্ধ থাকবে। কিন্তু সবই চলছে শুধু গণপরিবহন ছাড়া। বর্তমানে বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান বলেন, আমরা সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যে কোনো শাস্তি আমরা মেনে নেব- এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।

চলতি বছরের মার্চে করোনা আবার বাড়তে থাকায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরমধ্যেই অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকায় কঠোর লকডাউনে যায় সরকার। লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধসহ কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।