ইতিহাসে প্রথমবার অলিম্পিক দেখবে রূপান্তরকামী অ্যাথলেট

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক। জাপানে অনুষ্ঠিতব্য এবারের আসরে দেখা যাবে দারুণ এক ঘটনা। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রূপান্তরকামী অ্যাথল্যট অংশ নিতে যাচ্ছেন। যিনি পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। এই খবর শুনে বা দেখে অনেকেই অনেক কিছু ভাবতে শুরু করেছেন। মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কী করে এটা সম্ভব হচ্ছে?

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেন, তাতে বলা আছে যদি কোনো পুরুষ নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারী হয় তাহলে বিনা পরীক্ষাতে তাকে নারী বিভাগে নামতে দিতে হবে। শুধুমাত্র টেস্টোস্টেরন লেভেল দেখা হতে পারে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে নিউজিল্যান্ডের ভারোত্তোলক লাউরেল হাবার্ডকে। তিনিই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী যিনি অলিম্পিকে প্রতিযোগি হিসাবে অংশ নেবেন।

২০১৭ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার পদক জিতেছিলেন হাবার্ড। ২০১৯ সালে চোটের কারণে ষষ্ঠ স্থান দখল করেন। তবে ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী হিসাবে নয়, হাবার্ড বয়স্ক প্রতিযোগী হিসাবেও অলিম্পিকের আসরে নামবেন। তার বয়স যে এখন ৪৩ বছর! অলিম্পিকের এই পদক্ষেপকে অনেকেই সাহসী বা ভাল পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন। কিন্তু অনেকেই এর সমালোচনা করে বলছেন, হাবার্ড বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। কারণ তিনি একজন পুরুষ থেকে নারী হয়েছেন। ফলে তার মধ্যে নারীদের তুলনায় বাড়তি ক্ষমতা থাকবে।