সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দর্শনীয় করে তুলতেই প্রকল্প: কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার জায়গা দর্শনীয় করে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই কাজগুলি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ইতিহাসের কথা জানতে পারবে।

শনিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।

রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে শিশুপার্ক করেছিল। তখন পরিবেশবাদীরা কেন প্রশ্ন তোলেন নাই তা জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারো মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পায়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। উজাড় করে ফেলা হয়েছিল এই নগরীর সৌন্দর্য।

এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ঠ সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে সেতুমন্ত্রী ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এসময় মন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়, তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।

বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে।

মন্ত্রী পুরাতন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো প্রকল্প হাতে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দেন।

তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এই সেতুর কাজের গতি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না। তিনি বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

গত কয়েকদিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এ ধরনের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন।

আবারও স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে জীবন পরে জীবিকা। এই মূহুর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সকলেমিলে ত্যাগ স্বীকার করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসুন সকলে মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।