‘দণ্ডিত আ স ম রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল’

rob jsd

সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে যাওয়ার নজির আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে অনুমতি না দেওয়ার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সরকার বলছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতির এমন নজির নেই। কিন্তু ১৯৭৯ সালে আমাদের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আব্দুর রব জেলে ছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান দায়িত্বে ছিলেন। পরে তাকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে দেশে এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাজা মাফ করে দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এমন আরও অনেক আছে, আমি নাম বলবো না। অত্যন্ত উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারের কর্মকর্তাই বলব, তার দুই সহোদর ভাই আইনের এই ৪০১ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরকে মাফ করে দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। কেনো খালেদা জিয়ার বিষয়ে খোঁড়া যুক্তি দিচ্ছেন।

মির্জা ফখরুল আক্ষেপ করে সরকারের উদ্দেশে বলেন, সোজা বলে দেন যে আমরা তাকে (বিদেশে যেতে) অনুমতি দেবো না।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানও এমন ছিলেন না। তিনিও তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিকিৎসার সুবিধা দিয়েছেন, ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করেছেন। কিন্তু আপনাদের (বর্তমান সরকারের) যোগ্যতা নেই। থাকলে অনেক আগেই খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দিতেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে দেশের বাইরে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। বেগম জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সরকার খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করবেন, দেশে ফিরবেন না-এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা।

করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে বিদেশ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার। সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। সরকার বলছে, দণ্ডিত আসামির বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই।