মিতু হত্যা: গ্রেপ্তার দেখানো হলো দুই আসামিকে

চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন আনোয়ার হোসেন ও ওয়াসিম।

মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান রবিবার দুপুরে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বলেন, এই আসামিরা আগে বাবুল আক্তারের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় ছিলেন। আজকে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে মিতু হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর গত বুধবার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে।

বাবুল আক্তার ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া, খাইরুল ইসলাম কালু, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও সাইদুল ইসলাম শিকদার সাকু।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। সে সময় মিতু হত্যায় তার স্বামী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জঙ্গি হামলার অভিযোগ আনেন এবং তিনি কাউকে আসামি হিসেবে চিহ্নিত করেননি। মূলত তিনি একাধিক জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় সহজে এই হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গি হামলা বলে চালিয়ে দেন।

এই মামলা প্রথমে পাঁচলাইশ থানা এবং পরে চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু প্রায় চার বছরের তদন্ত শেষেও কোনো ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় মামলাটি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপরই মূলত সাক্ষী ও বাদীর দেয়া তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে একের পর ক্লু উদঘাটন শুরু হয়। এতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুসার সঙ্গে সাইফুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। আর সাইফুলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল বাবুল আক্তারের। পিবিআই-এর কর্মকর্তারা কামরুল শিকাদর মুসা এবং সাইফুল হককে অনুসরণ করেই হত্যার মূল হোতা বাবু্ল আক্তারের কাছে পৌঁছান।

গত মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়ে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শ্বশুর মোশাররফ হোসেন তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বাবুল আক্তার এখন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।