বাংলাদেশের কাছে টিকা বিক্রির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত: রুশ রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের কাছে করোনা ভাইরাসের টিকা বিক্রির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভ।

রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তবে, কবে টিকা আসবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।

টিকা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া থেকে এক কোটি টিকা কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী জুলাই থেকে স্পুটনিক-ভি টিকার প্রথম চালান পেতে আগ্রহী। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব টিকা দেশে আসবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

কোভিশিল্ডের টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

চুক্তির পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে দু’টি চালানে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর টিকা রপ্তানি করেনি সেরাম।

রপ্তানি বন্ধ করার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। এপ্রিলের শেষে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এবং মে মাসের শুরুতে চীনের সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয় সরকার।