এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্তের হার ১২.১২

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ আগে সবশেষ ৮ মে ৪৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৯১৩ জনে।

এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি গত একদিনে শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। এই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩২২ জনের শরীরে, দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল দুই হাজার ৩৪১ জন শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা আট লাখ ১৫ হাজার ২৮২ জন।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬২ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৫৫ হাজার ৩০২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২.১২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯২.৬৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১.৫৮ শতাংশ।

১৯ হাজার ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষার করে দুই হাজার ৩২২ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।

নতুন যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন ও নারী ১৭ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৬ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের একজন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।