হল-মার্কের জেসমিনের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি ৭ জুলাই

ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর আগামী ৭ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন। জেসমিন ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। ওইদিনই বিকেলে রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভূক্ত কর্মচারি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬শ ১৬ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১৭ আগষ্ট বিচারিক আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ জেসমিন ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এই জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদন করে। এ আবেদনে আপিল বিভাগ ওই বছরের ১৬ জুন এক আদেশে জেসমিন ইসলামের জামিন স্থগিত করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। এরপর তিনি আত্মসমর্পন করেন। এ অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে এবছর আবেদন করেন। এ আবেদনে আদালত রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর আগামী ৭ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।