হজমশক্তি বাড়ানোর সাত উপায়

অনেক সময় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের কারণে তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এই একই সমস্যা ভাজাপোড়া খাবার খেলেও হয়ে থাকে। যা খুবই অস্বস্তিকর। এর জন্য অনেক সময় ওষুধের আশ্রয়ও নিতে হয়।

চিকিৎসার ভাষায় এই সমসসাকে বলে মেটাবোলিজম, সহজে আমরা তাকে বুঝি হজমশক্তি হিসেবে। আর শরীরের সব ঠিকঠাক থাকবে কিনা সেটার একটা বড় অংশ নির্ভর করে এই বিপাকক্রিয়ার ওপর। বিপাকে গণ্ডগোল দেখা দিলে দিনটাই মাটি। তাই বিষয়টাকে স্থায়ীভাবে আয়ত্তে আনতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম। চলুন ত০বে জেনে নেয়া যাক সেই নিয়মগুলো-

ব্ল্যাক কফি

অন্যান্য কফি কিংবা চায়ের চেয়ে ব্ল্যাক কফিটাই বিপাকের গতি বাড়াতে সহায়ক। এছাড়া খেতে পারেন গ্রিন টি।

ঝাল হোক বেশি

ঝালের মধ্যে পটেন্ট নামের একটি প্রাকৃতিক উপকরণ আছে যা বিপাকের বড় কাজগুলোর অনুঘটকের কাজ করে।

ঘুমের বিকল্প নেই

কম ঘুমটা অভ্যাসে পরিণত হলে এক শ’টা রোগের সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়াও যোগ হবে। আর সেই সঙ্গে কমে আসবে বিপাকের গতি। বাড়বে কোষ্ঠকাঠিন্য।

পেশীতে নজর দিন

মাংসপেশী গঠন সংক্রান্ত ব্যায়াম শুরু করলে শরীর বেশি পরিমাণে ক্যালোরি পোড়াতে থাকে। তখন বিশ্রাম নেয়ার সময়ও দেখা যায় হজমের গতি বেড়ে যাচ্ছে।

সব বেলায় প্রোটিন

সব বেলাতেই চেষ্টা করুন কিছু না কিছু প্রোটিন তথা আমিষ খেতে। আমিষকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে থার্মিক তথা তাপোৎপাদনকারী খাবার। বিপাকক্রিয়ার গতি ১৫ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ায় এটি।

তৃষ্ণার্ত থাকবেন না

শরীরে পানির চাহিদা আছে কিনা সেটা বোঝার চর্চা করুন। অজান্তেই আমরা অনেক সময় তৃষ্ণাটাকে এড়িয়ে চলি। এতে সবার আগে ঝামেলায় পড়ে আমাকে বিপাকীয় প্রক্রিয়া।

অল্প করে বারবার

অল্প পরিমাণে বেশি বেলা খাবার প্র্যাকটিস করুন। এর পাশাপাশি আবার শুয়ে বসে কাটাবেন না। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। তবেই ঠিকঠাক চলতে থাকবে মেটাবোলিক কার্যক্রম।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।