১০টা বাজার ১৫ মিনিট আগেই হাজির মৌ

বর্তমানে অভিনয়শিল্পীদের কাছে সিডিউল বিপর্যয় একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই নির্ধারিত সময়ে শুটিংয়ে হাজির হন না। মাঝে মধ্যেই এমন অভিযোগ করেন নির্মাতারা। সেই দিক থেকে অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ ব্যতিক্রম। শুটিংয়ের সময় ছিলো সকাল ১০টা। তার ১৫ মিনিট আগেই মেকাপসহ শুটিং সেটে এসে হাজির মৌ। অভিনেত্রীর এমন পেশাদারিত্বে মুগ্ধ নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

চয়নিকা চৌধুরী ইত্তেফাক অনলাইন বলেন, ‘১ ঘণ্টার ব্যাপ্তির নাটক এটি। এখানে মৌ’র চরিত্রটি কর্পোরেট বিজনেস ওম্যান। যিনি ছোট থেকে নানা রকমের কষ্ট, অভাব-অনাটন দেখে দেখে আজ এতোদূর এসেছেন। এইরকম একটি গল্পে এগোবে নাটকটি।’

চয়নিকার কথায়, ‘সাদিয়া ইসলাম মৌ এর সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। এরকম একজন আর্টিস্ট থাকা যেকোনো পরিচালকের জন্য ভাগ্য। সত্যি কথা বলতে- আগে যারা কাজ করতেন তারা সবাই আসলে এরকম। অনেকদিন পর এমন একজন আর্টিস্ট পেয়ে আমি মুগ্ধ।’

এদিকে সাদিয়া ইসলাম মৌ-এর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন চয়নিকা। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমেই বললেন, আমি তো মেকাপ নিয়ে আসবো আমার কল কখন বৌদি? আমি বললাম ১০ টায়। ১০টা বাজার ১৫ মিনিট আগেই উইথ মেকাপ হাজির সেটে। খেয়াল করে দেখলাম, তিনি যখন একটা দৃশ্য শেষ করেন, সেট ছাড়ার সময় পরের দৃশ্য আর কন্টিনিউটি নিজ দায়িত্বে জিজ্ঞেস করেই মেকাপ রুমে যান। আর এক দৃশ্য থেকে আরেক সিনে যাবার সময় গ্যাপ বড় জোড় ১৫ মিনিট।’

চয়নিকা আরও লিখেছেন, ‘শুটিং চলাকালে তার হাতে আমি কোন ফোন দেখিনি। ফোন এ কথা বলতে দেখেছি একবার লাঞ্চ সময়ে ছেলে-মেয়ের সাথে। দেখিনি কোন গিবত, সমালোচনা করতে। কয়েকবার রিহার্সাল করে, মনিটর করেই শুটিং করেছি। গল্প হয়েছে সেই পুরোনো আমাদের সময়ের কথা, আমরা যেভাবে কাজ করেছি সেই আন্তরিকতা, যত্ন, ভালোবাসা দিয়ে সেইসব নিয়ে। গল্প হয়েছে অরুণ চৌধুরীর লেখা কুসুমকাটা নিয়েও। সত্যি তুমি ডিরেক্টরের শিল্পী। সত্যি এই প্রথম তোমাকে নিয়ে কাজ। অনেকবার হয়ে হয়েও হয়নি। খুব খুব শান্তি আর আরাম নিয়ে কাজটি আনন্দ নিয়েই করেছি। অজস্র ধন্যবাদ।’