লকডাউনে গার্মেন্টস খোলা রাখতে চান মালিকরা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গার্মেন্টস বন্ধ করে দিলে ৪০ লাখ মানুষ বাড়িমুখী হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সে বিষয়টি বিবেচনা করে লকডাউনে গার্মেন্টস খোলা রাখতে চায় পোশাকশিল্প মালিকরা।

২৯ জুন মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

লকডাউনেও পোশাক শিল্পের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সে সিদ্ধান্তটি কেবিনেট ডিভিশন থেকে ঠিক করবে। এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। হয়তো আজ সন্ধ্যার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে কথা বলাটা ঠিক হবে না।

তিনি জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনা আক্রান্তের হার অনেক কম। সেজন্য লকডাউনে সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে মালিকরা পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চান।

টিপু মুনশী বলেন, মালিকদের যুক্তি হলো, আমরা যেহেতু মেইনটেইন করেছি, বিদেশে প্রোডাক্ট যাবে, সেটি জাতির স্বার্থে দরকার। এছাড়া সামনে ঈদ আসছে, বেতন-বোনাসের বিষয় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা এমন একটি বিষয় বলেছে, যা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। তা হলো আজ ৪০ লাখ শ্রমিককে যদি ছুটি দিয়ে দিই, গতবারের অভিজ্ঞতা বলে, এসব শ্রমিকদের আমরা ঢাকা বা ঢাকার আশপাশে রাখতে পারিনি। দেখা গেছে, সবাই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে শনিবার ২৬ জুন বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বিকেএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু রাখতে চান উদ্যোক্তারা। এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি জানান, সামনে ঈদ। ঈদের সময় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার চাপ থাকে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে এই চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়া, বর্তমানে নতুন করে ক্রয়াদেশ আসছে। এই মুহূর্তে কারখানা বন্ধ থাকলে ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু রাখা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হবে বলে তার মত। কারখানা চালু থাকলে সংক্রমণ ঝুঁকি অনেকটা কম বলেও দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকরা যতক্ষণ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকবে ততক্ষণ তারা সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। কারণ, কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়। বরং কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে শ্রমিকরা গ্রামে বাড়ি চলে যেতে পারে বা অন্য কোথাও চলে যেতে পারে।