নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে লড়াই চলবে: এরদোগান

erdogan turky

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে লড়তে চার বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর ডেইলি সাবাহর।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, এ পরিকল্পনার মধ্যে পাঁচটি মূল লক্ষ্য— ২৮টি কৌশল ও ২২৭টি পদক্ষেপ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে— আইন সংশোধন এবং তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা।

এরদোগান বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে লড়াই সবসময় আমাদের অগ্রাধিকারে ছিল। সহিংসতা রোধে নেওয়া সব পদক্ষেপের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।

এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো— ঘরে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারী হত্যা কমিয়ে আনা। এর আগে তুরস্ককে ইস্তানবুল কনভেনশন থেকে বের করে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

এরদোগান বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার বিভিন্ন দিক রয়েছে। এগুলো নির্মূল করতে হলে প্রথমে এসব বিষয় চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের সার্বিক বিষয় অত্যন্ত সতর্কভাবে সামলাতে হবে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে সমস্যার মধ্যে রয়েছে।

আমরা আইনি বিধিমালা, প্রতিরোধ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাই।এরদোগান বলেন, আইন সংশোধন, জনসচেতনা বাড়ানো, এ বিষয়ে মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছর তুরস্কে স্বামী, আত্মীয় অথবা ছেলেবন্ধুর হাতে ২৬৬ নারী নিহত হয়েছেন। আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে নিহত হয়েছেন ৯৫ নারী। পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঘরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রথম চার মাসে গত বছরের তুলনায় কমেছে।

গত বছর প্রথম চার মাসে ঘরে নারীর প্রতি ৭৭ হাজার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। এ বছরের প্রথম চার মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজারে। কিন্তু বেড়েছে হত্যার সংখ্যা।

এ সময়ের মধ্যে গত বছর ৭৩ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর এ চার মাসেই হত্যা করা হয় ৯৫ নারীকে। হত্যাকরীদের অধিকাংশই স্বামী বা ছেলেবন্ধু। এ ছাড়া অনেকে বাবা-মা, ভাইবোনদের হাতেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।