লকডাউন কার্যকর করতে মানুষের কাছে টাকা ও খাদ্য পৌঁছাতে হবে

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউন কার্যকর করতে হলে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টাকা ও খাদ্য পৌঁছাতে হবে।

৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেছেন।

লকডাউনে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা এবং দিন আনে দিন খায় শ্রেণির মানুষের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার দিশেহারা অবস্থা তুলে ধরতে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

তিনি বলেন, অবিলম্বে দরিদ্র, দুঃস্থ ও কর্মহীন জনগোষ্ঠির প্রত্যেককে অবিলম্বে এককালীন নগদ ১৫ হাজার টাকা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের জিডিপির ৬-৭ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ করেই দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে মানবিক সহায়তা দেয়া সম্ভব। যা দরকার সেটা হলো সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে হলে দিন আনে দিন খায় শ্রেণির মানুষের কাছে টাকা পৌঁছাতে হবে, খাদ্য পৌঁছাতে হবে তাদের হাতে। সেজন্য এই কাজগুলো করা দরকার এই মুহূর্তে।

এই মুহূর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করুন যাতে করে এই শ্রেণির মানুষের কাছে তার খাদ্য ও তার টাকা পৌঁছানো যেতে পারে। এটাই একমাত্র পথ এই লকডাউন কার্যকরের।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি আর হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী চুরির কাহিনী এসব দেখে মনে হয় করোনা সরকার দলীয় লোকজনের জন্য যেন আর্শীবাদ হয়ে এসেছে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের এক অবস্থানপত্রে ধরা পড়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রদেয় ৫০ লাখের তালিকায় ১৪ লাখ ৩৩ হাজার লোকের নামই ভুয়া। গণমাধ্যমে খবর আসে যে, ঝিনাইদহে দুই জন কোটিপতিকে আপনার এই ত্রাণ দেয়া হয়েছে। একজনের নাম খোকন সরকার আরেক নাম হচ্ছে রাজু দাস। তারা কোটিপতি। একজনের জুয়েলারি আছে, আরেকজনের কোম্পানি আছে।