বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৬৮

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৭৮ বলে ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। টাইগারদের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন শূন্য রানে ব্লেসিং মুজারবানির বলে বিদায় নেন। মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারে একটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এর আগে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৪৬।

দেশের হয়ে নবম উইকেট জুটিতে আগের রেকর্ড ভেঙে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। ২৭৬ বলে ১৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন তারা। গতকাল শেষ বিকেল থেকেই তাসকিন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মতোই মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন।

তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। এ জন্য তিনি খেলেছেন ৬৯ বল। হাঁকিয়েছেন ৮টি বাউন্ডারি। ৩২ রানে অবশ্য একটা জীবনও পেয়েছেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভার বলে দ্বিতীয় স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়েন একজন ফিল্ডার। এর আগে তাসকিনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ৩৩। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তিনি ওই ইনিংস খেলেন।

৮ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। গতকালের অবিচ্ছিন্ন তাসকিন-মাহমুদউল্লাহর নবম উইকেট জুটি আজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে লড়াই শুরু হয়েছে মিডল অর্ডার থেকে।

বরাবরের মতো মহাবিপদে দলের হাল ধরা মাহমুদউল্লাহ আজ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূরণ করেন। এতে তার লেগেছে ১৯৫ বল। হাঁকিয়েছেন ১১টি চার এবং ১টি ছক্কা। যদিও ১৬ মাস ধরে তাকে টেস্টে বিবেচনা করা হয় না। জিম্বাবুয়ে সফরের টেস্ট দলেও তার নাম ছিল না। গত ২৬ জুন হুট করে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয় তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমের ‘বদলি’ হিসেবে।

এর আগে গতকাল বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের মাঝে সাইফ (০), সাদমান (২৩), শান্ত (২), মুশফিক (১১), সাকিব (৩), মিরাজ (০)- কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।

লিটন দাস দুঃখজনকভাবে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট হন। তার ১৪৭ বলে ১৩ চারে ৯৫ রানের ইনিংস থামে ডোনাল্ড ত্রিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। অধিনায়ক মুমিনুল ৯২ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ৭০ রানে আউট হন।