পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই

বছর ঘুরে আবার আসছে ঈদ। প্রতিকূল এই সময়ের সঙ্গে লড়াই করে সবাই চাইছে, মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে; ঘরবন্দি থেকেও প্রিয়জনের সঙ্গে উৎসব আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।

অন্য সবার মতো তারকাদেরও এমনই চাওয়া। করোনাকালীন ঈদুল আজহায় ঘরবন্দি হয়ে কাটাবেন বলে জানালেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। পূর্ণিমা বলেন,করোনার কারণে ঈদের দিনটি বাসায়ই কাটবে।

পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। ঈদে আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হলো মজার মজার রান্না। পরিবারের জন্য আমার নিজেরও কিছু পছন্দের খাবার রান্নার ইচ্ছা আছে। প্রতি ঈদেই পরিবারের সঙ্গে অন্যরকম একটা সময় কাটানো হয়। আমি মনে করি, ঈদের আনন্দ মূলত ছোটদের জন্যই।

ছোটবেলায় ঈদ কতটা আনন্দের ছিলো প্রশ্নে পূর্ণিমা বলেন, ‘শৈশবের কাটানো ঈদের স্মৃতি আমার চোখে সব সময় জ্বলজ্বল করে। ঈদের চাঁদ দেখার জন্য ছাদে উঠে আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতাম।

দেখা মিললেই চিৎকার শুরু করে দিতাম। চাঁদরাতেই মেহেদি লাগানোর ধুম পড়ত। ডিজাইন করে মেহেদি দিতাম। মা সন্ধ্যা থেকেই পরদিনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।

ঈদের দিন সকাল, দুপুর ও রাতে কী ড্রেস পরব, তা আগেই গুছিয়ে রাখতাম। সব সময় অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চেষ্টা করেছি। ছোটবেলা থেকেই এটা হয়ে এসেছে।

যেজন্য ঈদের জামা-কাপড় বাছাইয়ে অনেক সময় নিতাম। ঈদের নতুন জামাগুলো লুকিয়ে রাখতাম। যাতে বোন বা বান্ধবীরা আমার জামাগুলো না দেখতে পায়। এ নিয়ে সে সময় বান্ধবীদের অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করতাম। খুব জোরাজুরিতে নতুন জামার রং বললেও জামার ধরন বলতাম না।

ঈদের দিন সকালে ওই জামা পরে সবাইকে চমকে দিতাম। এদিকে জুলাইয়ের শুরুতেই মেয়ে আরশিয়া উমাইজাকে নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিলো পূর্ণিমার। কিন্তু দেশে করোনার সংক্রণ বাড়ায় ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় আপাতত যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন। তাই সম্ভবত ঈদ তার ঢাকাতেই করা হচ্ছে।