আস্থা ভোটে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর জয়লাভ

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জয়লাভ করেছেন। গত মে মাসে ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পুনর্বহাল হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই রোববার এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

৭৫ বছর বয়সী দেউবা এর আগে আরও চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিহিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পার্লামেন্টের স্পিকার অগ্নি সাপকোটা জানান, আস্থা ভোটাভুটিতে জয় পাওয়ার জন্য ১৩৬ ভোট প্রয়োজন ছিল। তবে দেউবা পান ১৬৫ ভোট। অন্যদিকে বিপক্ষে পড়ে ৮৩ ভোট।

ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দায়িত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন দেউবা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম দায়িত্ব হবে করোনা ভাইরাসের টিকা কেনা ও কোভিড-১৯ এর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নেপালে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৬৭ হাজার ১০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। নেপালের তিন কোটি জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ করোনা ভাইরাস টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন।

১৩ লাখেরও বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পাওয়ার পর এখন দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন। আস্থা ভোটে জয়ের পর পার্লামেন্টে দেউবা বলেছেন, নতুন সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হবে কোভিডের সঙ্গে লড়াই।

নতুন সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে জনগণের এক তৃতীয়াংশকে ও আগীম এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যেক নেপালিকে টিকার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এর আগে ১২ জুলাই নেপালের সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসে ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট বহালের আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্ট একইসাথে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা কে পি শর্মা ওলির পরিবর্তে দেউবাকে দায়িত্ব গ্রহণের আদেশ দেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়, তিন বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা অলি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। দেউবার পক্ষে আদালতের রায় সত্ত্বেও দেশটির সংবিধানে অনুসারে তাকে পার্লামেন্টে আস্থাভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হতো।