পর্নোগ্রাফি তৈরিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন : স্বামীর কারাদণ্ড

পর্নোগ্রাফি তৈরিতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনামে ৩১ জুলাই কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার একদিন পর সেই মাদকাসক্ত স্বামী মোরসালিন আহমেদকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার ১ আগস্ট দুপুরে এ কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।

জানা যায়, আমেনার স্বামীর উপর্যোপুরি নির্যাতনে তার দুইকান দিয়ে রক্তক্ষরণসহ নানাবিধ শারিরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় তিনি গতকাল সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী মোরসালিন গতকাল সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতাল থেকে উঠিয়ে নিতে আসেন।

ব্যাপারটি সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমানকে জানানোর ৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পৌঁছালে মোরসালিন কৌশলে হাসপাতালের পিছনের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।

সকালে আবার আমেনাকে উঠিয়ে আনতে গেলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পেয়ে আনসার সদস্যের মাধ্যমে কৌশলে আটক করে থানা পুলিশ খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে মোরসালিনকে গ্রেপ্তার করে।

নির্যাতিত আমেনা বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। স্যারের কাছে আমার ঘটনা বলার পর তিনি কেঁদে দিয়ে বলেছিলেন, আমি যদি বেঁচে থাকি তুমি ন্যায় বিচার পাবে।আজ আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

ওসি স্যারও আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে নির্যাতিত জীবন থেকে মুক্ত করতে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যারা আমার নির্যাতিত জীবন কাহিনি তুলে ধরেছেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সাজাপ্রাপ্ত মোরসালিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, নির্যাতিত আমেনার আমেনার মাদকাসক্ত স্বামী মোরসালিনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।

সূত্র : কালের কণ্ঠ।