আর্থিক প্রণোদনায় গুরুত্ব না দিলে বৈষম্য বাড়বে

1000/500 taka

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের কারণে কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। এদের মধ্যে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকার নগদ সহায়তার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তায় নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে নগদ সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শ উঠে এসেছে।

রোববার ৮ আগস্ট সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের আয়োজনে বাজেট ২০২১-২২ বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়া মানুষ কীভাবে সুফল পাবে শীর্ষক এক আলোচনায় এমন পরামর্শ উঠে আসে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থিক প্রণোদনাকে গুরুত্ব না দিলে বৈষম্য আরও বাড়বে। ৮০ শতাংশ মানুষ খাবার ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। শিশুখাদ্য ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে ১০ শতাংশ মানুষ।

বলা হয়, যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে তার ৮০ শতাংশ অর্থই ব্যাংক নির্ভর। সাধারণ মানুষ পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ অর্থ। এক কোটি ২০ লাখ মানুষ কর্মঝুঁকিতে রয়েছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে যদি প্রণোদনার অর্থ না পৌঁছানো যায় তবে বেকারত্ব বাড়বে। বলা হচ্ছিল, ঋণের সুদের হার কমালে বিনিয়োগ বাড়বে, কিন্তু এ তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

বিনিয়োগ না বাড়ালে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। ব্যাংক খাত থেকে তারল্য তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত রোগের সমাধান না, উপসন করা মাত্র। সমাধানের টেকসই উপায় হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ানো।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে ব্যয় হবে জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ। যা ব্যয়ে সক্ষম বাংলাদেশ। তবে টিকার সুষম বণ্টন দরকার।

বলা হয়, এ সংকটে বহু মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করত হবে। একইসঙ্গে প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তার সুবিধা যাতে পিছিয়ে পড়া মানুষরা পায় সেই উদোগ নিতে হবে।

বক্তারা বলেন, শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দের ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় প্রায় তিন হাজার শিশু অনাথ হয়েছে। তাই শিশুদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দেয়া দরকার।