করোনায় মধ্যেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত।

করোনার মধ্যে কোথায় তারা জনগণের পাশে দাঁড়াবে, মানুষকে সহায়তা করবে, সেটা না করে গতকাল বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে গিয়ে ফুল দেওয়ার নামে মারামারি করেছে, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।

তারা যে সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, এই করোনার মধ্যেও সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গতকালকের ঘটনা।

বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, পরিচালক ও শিল্পীবৃন্দ আয়োজিত আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের করোনা চিকিৎসায় বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজকে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে খোরশেদ আলম খসরু, অনন্ত জলিল, মশিউর রহমান, চুন্নু ভাই, মৌসুমী, ওমর সানীসহ চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যরা এই অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

কারণ এই করোনা মহামারির মধ্যে আজকে যেভাবে সমস্ত পৃথিবী স্তব্ধ হয়েছে এবং সবাই অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে যে, মানুষ ছোট একটি আণুবীক্ষণিক জীবাণুর কাছে কত অসহায়। এই অসহায়ত্বটা এমন যে, অনেক অর্থবিত্তও কোনো কাজে আসছে না।

এই সময়ে যারা অপরের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন, তাদের প্রতি আমি একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের একজন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি জনহিতকর কাজ এবং জনগণকে সাহায্য করার কাজে বাধা দেবার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন, তার ফলে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেবেন। ইতিমধ্যেই প্রায় দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা করোনার মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবং সেই পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের সংসদীয় দলের ১৩০ জনের বেশি সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এতো মৃত্যু জাতীয় সংসদে কখনো কেউ দেখেনি। ৮১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য একবার কিম্বা দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমি দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু আমি করোনার মধ্যে একদিনও ঘরে বসে থাকিনি, একদিনও না।