১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও টিকা নিতে পারবেন

এখন থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও করোনার টিকা নিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকে সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিকা নিবন্ধনের অপশন চালু করা হয়েছে।

এর আগে টিকা নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

তখন টিকার নিবন্ধনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৪০ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এরই মধ্যে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিলে ২৬ এপ্রিল থেকে সাময়িকভাবে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে টিকা প্রাপ্তিসাপেক্ষে আবার ৫ মে থেকে টিকার নিবন্ধন শুরু হয়।

এ সময় টিকার নিবন্ধনের বয়স প্রথমে ৩৫ বছর, পরে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হয়। এরপর গত ২৯ জুলাই নতুন করে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করে সরকার।

সর্বশেষ ১৯ আগস্ট রাত থেকে টিকার নিবন্ধনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা নামিয়ে ১৮ করা হলো। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ ডোজ করোনা টিকার প্রয়োগ হয়েছে।

এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৭ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ জন মানুষ। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৪ লাখ ৩৩২ আর নারী ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৫ জন।

দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮১০ আর নারী ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৯২ জন।এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার ১১৩ ডোজ।

চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৩ হাজার ১৩৮ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২৭ লাখ ১৭ হাজার ১৭৮ ডোজ।