তালেবানের বিরুদ্ধে এবার ‘গুরুতর’ অভিযোগ অ্যামনেস্টির

amenesty international

কাবুল দখল নিয়ে ক্ষমতায় আসে তালেবান যোদ্ধারা।এরপর থেকেই দেশটি ছেড়ে অসংখ্য মানুষ পালাতে থাকে।

ন্যাটো ও আফগান সরকারকে সহযোগিতা করায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া অভিযোগ ওঠে জাতিসংঘের নথিতে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তালেবানের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তুলেছে।

অ্যামনেস্টি বলছে, বর্বর নির্যাতন করার পর আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েকজন মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে।

তালেবান যোদ্ধারা এই বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তালেবানরা রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়ার পর নিজেদের ইতিবাচক ইমেজ দেখানোর চেষ্টা করছে।

কিন্তু অ্যামনেস্টি বলছে, গজনিতে যা ঘটেছে তা তালেবান শাসনের ‘ভীতিকর নির্দেশক’। হাজারা সম্প্রদায় হচ্ছে আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জাতিগত গোষ্ঠী।

হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষজন শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী। এজন্য দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে বৈষম্য এবং নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে তারা।

কেননা এই দুটি দেশই সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হয়, ৪ থেকে ৬ জুলাই গজনি প্রদেশের মালিস্তান জেলায় ৯ হাজারাকে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং হত্যাকাণ্ডের ফটোগ্রাফিক প্রমাণ বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, সরকারি বাহিনী এবং তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই তীব্র হলে তারা পাহাড়ি অঞ্চলে পালিয়ে যান।

কিন্তু খাবার সংগ্রহের জন্য কিছু মানুষ মুন্দারাখত গ্রামে ফিরে আসে। তারা জানায়, তালেবানরা তাদের ঘরবাড়িতে লুটপাট চালায় এবং তাদের অপেক্ষায় ছিল তারা।

পৃথক আরেকটি ঘটনায় কিছু মানুষ তাদের গ্রামে যাওয়ার জন্য মুন্দারাখত অতিক্রম করার সময় হামলার শিকার হয়। ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কয়েকজনকে গুলি করা হয় মাথায়। আর তিনজনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।