গণমাধ্যম বিকশিত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনা অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম মুক্ত বিহঙ্গের মত উন্মুক্ত দিগন্তে বিচরণ করে মতামত প্রকাশ করছে। এখন দাপ্তরিকভাবে কোথাও কোন সংবাদ সেন্সর করা হয় না। এর অর্থ শেখ হাসিনা চান গণমাধ্যম বিকশিত হোক। গণমাধ্যম বিকশিত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) পিরোজপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালীন (২য় পর্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিসর বাড়িয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এ বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে তিনি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। করোনা সংকটের মধ্যে সাংবাদিকদের জীবন বাজি রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কঠিনকে ভালোবাসার নাম সাংবাদিকতা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সংবাদমাধ্যমের গলা টিপে ধরার প্রবণতায় বিশ্বাস করে না। সংবাদমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।

আমি নিজেকে সংবাদমাধ্যমের অংশ মনে করি। আমি যতদিন এমপি-মন্ত্রী আছি শুধু ততদিন না বরং সাধারণ মানুষ হিসেবে গণমাধ্যমের সাথে আন্তরিকতা, মমতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সব সময় রক্ষা করবো।

কাউকে ছোট করার জন্য নিউজ করার চেয়ে বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করা অনেক প্রয়োজন বলে এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী। শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, দেশের উন্নয়নে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সামাজিক বলয়কে শিষ্টাচারপূর্ণ রাখার জন্য সবাইকে দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।