দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালি জাতিকে বিশ্বসভায় আত্মপরিচয় নিয়ে চলার পথ তৈরি করে দেয়া তথা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা, ১৯৭২এর সংবিধান দিয়ে গেছেন বিশ্ববরেণ্য ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ,

র্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার বন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোই ছিল তাঁর রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আজ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। দুঃখের বিষয়, বিশ্বের ইতিহাসের জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ সময় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে সোমবার ২৩ আগস্ট সংসদের শপথ কক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

এসময় ১৯৭৫ এর ১৫আগস্ট শহীদগণের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সংসদ সচিবালয় মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু রায়হানের পরিচালনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

স্পিকার বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধুর চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না, সারাজীবন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।

জমিদারী প্রথার বিরুদ্ধেও তিনি একথা বলেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তাঁকে ছাত্রত্ব হারাতে হয়েছিল।

শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্দোলন-সংগ্রামকে তিনি বেগবান করেছেন।

যথাযথ সময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিরল প্রতিভা তাঁর মধ্যে আমরা দেখতে পাই। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে,

যার মূল উদ্দেশ্য জাতির পিতার আদর্শ, দর্শন ও চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ১২৮টি অডিও ভাষণ সংসদ লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ, মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ ওয়েবসাইট তৈরি, শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর একশ উক্তি, বঙ্গবন্ধু আর্কাইভ, বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আরও অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।