আ.লীগের আমলে গুম কী ও কত প্রকার জানতে পেরেছি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‌গুম শব্দটি আমরা তো আগে শুনিনি। এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম কী ও কত প্রকার তা জানতে পেরেছি। এর আগে এই গুম শব্দটি কারও পরিচিত ছিল না।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির মিলনায়তনে মানব সেবা সংঘ নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মঙ্গলবার একটা প্রোগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দিয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন বিএনপি সরকার নাকি লাশ গুম করেছিলো। এই যে প্রতিদিন তিনি অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলেন।

গুম শব্দটি আমরা তো আগে শুনিনি। আপনার সরকারের আমলেই এই গুম শব্দটি পরিচিত পেয়েছে এবং অনেক ছাত্র মানবাধিকারকর্মী যারা অধিকার আদায়ের কথা বলেন, তারা গুম হয়েছেন।

সুতরাং, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিএনপি সরকার লাশ গুম করেছে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। দেশের জনগণ সরকারের কথায় বিভ্রান্ত হয় না।

তিনি বলেন, সরকার যে মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দেয়, এটা জনগণ বোঝে। এরশাদের আমলে আওয়ামী লীগ বলেছিলো- যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে, তারা জাতীয় বেঈমান।

কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা তার সাথে নির্বাচনে গেছিলেন। আর সেই থেকে জনগণ আপনাদের কথায় বিশ্বাস করে না। করোনার টিকা নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, করোনার ক্ষেত্রে, টিকার ক্ষেত্রে, বৈশ্বিক মহামারির ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।

আপনারা আওয়ামী লীগ একটা ক্ষেত্রে সফল। তা হলো- দুর্নীতি ও আপনার নেতাদের পকেট ভারী করার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অন্য কোনো যোগ্যতা বা সফলতা আপনাদের নেই।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ কতদিন থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ। অথচ এই বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। আজ বিশ্বে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করছে,

অথচ আমাদের সরকার পারছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সরকার একটার পর একটা অসত্য, বানোয়াট কথা বলে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এখন অন্ধকারের ভেতর থেকে অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। সেগুলো বেরিয়ে আসার কারণে মানুষ ঠিকই বুঝতে পারছে, ২১ আগস্ট সহ অন্যান্য ঘটনা শেখ হাসিনার ভাবমূর্তিকে বাড়ানোর জন্য,

এবং বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। এটা আজকের যে সরকার তাদের প্রজ্ঞা থাকতে পারে, বা অন্য কিছু থাকতে পারে। যে কাজগুলো সেদিন তারা করেছে।