জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসার কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

সরকার হটানোর আন্দোলনে জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার দুপুরে এক আলোচনাসভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে একটা দানবীয় শক্তির উত্থান ঘটেছে। ওরা আমাদের সব কিছু তছনছ করে দিচ্ছে।

দেশকে তারা মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। আজকে সত্যিকার অর্থেই একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে তারা; যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরকে যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দিতে চাই তা হলে আমাদের সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই এখন রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক দল বিএনপি নয় বা শুধু বিরোধী দলগুলোকে নেমে আসতে হবে তেমন নয়, সবাইকে নেমে আসতে হবে।

আজকে যারা এখানে আছেন সুধীজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আছেন, সংবাদসেবীরা আছেন- প্রত্যেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ বাদ পড়ছেন না। সুতরাং সবাইকে নেমে আসতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শত নাগরিক জাতীয় কমিটির উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্যঃপ্রয়াত সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে এই আলোচনাসভা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের হামলার ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ছেলেরা তাদের একজন সহকর্মীর মুক্তির জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেছে।

সেই খানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশ সহকারে তাদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গেলেন আমাদের ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির নেতারা।

কোনো উসকানি ছাড়া এবং কোনো রকম ঘটনা ছাড়াই সেখানে ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টি করল পুলিশ। প্রায় ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে এবং প্রায় ৪২ জনকে আহত করেছে। আপনারা দেখেছেন যে আমাদের আমানউল্লাহ আমান, আমিনুল হকসহ ৭২ জন নেতা সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সদ্যঃপ্রয়াত শিক্ষাবিদ খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও কর্মজীবন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানকে হারিয়ে শুধু পরিবার নয়, আমরা যারা বন্ধু-সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ী শুধু তারা নয়, গোটা জাতির জন্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।

মুস্তাহিদুর রহমানরা সব সময় জন্মায় না। আজকে এমন এক সময় তিনি চলে গেলেন, যখন তাকে আমাদের খুব দরকার ছিল। আসুন আমরা তার জন্য দোয়া করি, তার যেন বেহেশত নসিব হয়।

তিনি বলেন, দেশে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করতে পারলেই তার আত্মার শান্তি পাবে। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই কাজ করি।