ইরাকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, ১৩ পুলিশ নিহত

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩ জন। পুলিশ জানায়, রোববার কিরকুক শহরের ৬৫ কিলোমিটার দূরে আল রাশাদ এলাকায় একটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলা চালায় ইসলামিক গোষ্ঠী আইএস।

পুলিশ আইএসকে দায়ী করলেও সংগঠনটি এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। সম্প্রতি ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা বেড়েছে। যার বেশির ভাগের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক গোষ্ঠীটি।

ইরাকের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কিরকুক শহরের ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে আল রাশাদ এলাকায় হামলাটি চালানো হয়। খবর এএফপির।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরাকি পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, তল্লাশিচৌকিতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলা চালিয়েছে। হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।

এর আগে ৫ আগস্ট ইরাকের আদদিওয়ানিয়া প্রদেশের কাসরুল সুলতান রেস্টুরেন্টের কাছে মার্কিন সেনাবাহিনীর লজিস্টিক ইকুইপমেন্ট বহনকারী গাড়ি বহরে হামলার শিকার হয়।

তবে হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। সীমান্ত পথে বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতায় কুয়েত থেকে ইরাকে অস্ত্র নিয়ে আসছে মার্কিন বাহিনী।

ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক বহরে হামলার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে। ইরাকের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো সেদেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিরোধিতা করছে। তারা সেদেশ থেকে অবিলম্বে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চায়।

ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ নুরি আল মালিকি কিছু দিন আগে ঘোষণা করেছেন, সেদেশে বিদেশি সেনাদের কোনো প্রয়োজন নেই। ইরাকে তৎপর জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর প্রতি মার্কিন বাহিনী সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে একদিকে ইরান, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়েছে ইরাক। এখানে মার্কিন বাহিনীর ওপর যেমন হামলার ঘটনা ঘটছে, তেমনি ইরান ও ইরাকি আধাসামরিক বাহিনীর কমান্ডারকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই কোন্দলের কারণে বৈশ্বিক তেল সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। বছর দুয়েক আগে সৌদি তেল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বৈশ্বিক তেল সরবরাহের বড় একটা অংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ইরানকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।