আফগান ইস্যুতে সিআইএ প্রধান ও রুশ নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক

আফগান সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠকের জন্য ভারতে সফরে এসেছেন মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএ প্রধান উইলিয়া জে বার্নস। মঙ্গলবার যখন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান।

তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সিআইএ প্রধানের সফর এবং এজেন্ডা নিয়ে ভারত ও আমেরিকান কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।

তবে বেশ কয়েকটি সূত্র এই সফর এবং এর আলোচ্যসূচির কথা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সিআইএ প্রধান যখন দিল্লি সফর করছেন, একই সময়ে ভারতে রয়েছেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভ।

তিনিও আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই দিল্লি গিয়েছেন। ইতোমধ্যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাত্রুশেভ মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে দিল্লিতে পৌঁছান।

সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রমানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। গত ২৪ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরপরই দুই দেশের এনএসএ পর্যায়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। রাশিয়ার এনএসএর এ সফরকে মস্কোর একটি সংকেত হিসেবে দেখছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তালেবানের ক্ষমতা দখল ও আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত চলে যাওয়ায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে রাশিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

রাশিয়ার এনএসএ এমন এক সময়ে ভারত সফর করছেন, যার ১০ দিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ও বৈশ্বিক পরাশক্তি রাশিয়া।

ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) ও সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) এ দুই সম্মেলনে আফগানিস্তান পরিস্থিতি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছেন। সেখানে পুতিনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এরপর ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এসসিও সম্মেলনেও মোদি এবং রুশ নেতা মুখোমুখি হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং সম্মেলন দুটিতেই যোগ দেবেন বলে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ইরান, ভারত ও রাশিয়াও তালেবানের বিরুদ্ধে জোটকে সমর্থন করেছিল। তবে গত দুই দশকে আফগানিস্তানে কোনো সামরিক ভূমিকা ছিল না এ দেশ তিনটির।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, রয়টার্স।