শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছি

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসার গন্ধবপুর প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক এবং হিমালয় কোষের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্যা নেই। তবে আমরা এখনো পরিপূর্ণভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছি না।

গ্রাম থেকে শহরে আমাদের অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা দরকার। ৬০ ভাগ মানুষ ঢাকায় বসবাস করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

একইভাবে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে ৯৮ শতাংশ মানুষ পানির আওতায় এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কতটা সক্ষম। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় সারাবিশ্বেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

জিওলজিক্যালভাবেও আমাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যা বিশ্বের অনেক দেশেরই নেই। আমরা রুরাল এরিয়ার সব মানুষের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কাজ করছি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আন্ডারগ্রাউন্ডের পানি কাজে লাগাতে পারছি না। কারণ সেখানে অসংখ্য বর্জ্য রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ব্যবহার উপযুক্ত নয়।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা সিটিতে অসংখ্য প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সামনে আরও প্রকল্প আসছে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কারণ সেখানে লবণাক্ত পানিসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমে সেখানে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। সেজন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সারাদেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির জন্য চেস্টা করছি, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশের রুপান্তরের জন্য কাজ করছি। আমরা কিন্তু শুধু ট্রেডিশনাল এগ্রিকালচারের ওপর নির্ভর করতে পারি না। কৃষিতে প্রযুক্তি আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।

আমাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শুধু কৃষিখাতই যথেষ্ট নয়। আমাদের ব্যাপক শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের অনেক ইন্ড্রাষ্ট্রি ইতোমধ্যে ভালো অবস্থানে আছে,

এছাড়াও একশ ইকোমনমিক জোন তৈরির কাজ হচ্ছে। যেখানে অসংখ্য শিল্পায়ন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই আমরা ভাবছি শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানি কিভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায় আমি একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে, পানির দাম অনেক বেশি। আমাদের বুঝতে হবে বাস্তবিক অবস্থা। আমাদের অবস্থা কি? আমরা শহরে যারা আছি, তারা গ্রামের তুলনায় অনেক ভালো আছি। এখানে কিছু বিষয় রয়েছে।

একটি হলো ওয়াটার প্রোডাকশন কস্ট। পানির প্রোডাকশনে লাগছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। সেখানে বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। তাহলে বাকি ১০ টাকা কে দিচ্ছে। সরকার এই ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, যা আসে আয়কর থেকে।