সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী 

বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কৌশল প্রণয়নের ওপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কাজাখস্তানের নুর সুলতানে অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপী ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ফুড সিকিউরিটির চতুর্থ সাধারণ সম্মেলনের শেষ দিনে কান্ট্রি ডিবেটে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পৃথিবী এখন ইতিহাসের এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। মহামারির কারণে মানবজাতির সংকট বাড়ছে। এ সময়ে সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ সুরক্ষিত নয় ।

বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর সমান জোর দিয়ে করোনাকালীন বিশেষ উদ্যোগ নেয়।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে করোনাকালে ১ কোটির বেশি আয় রোজগারহীন মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেয়।

হামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিকসহ পাঁচ মিলিয়ন মানুষকে নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। মহামারিকালে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জন প্রসংশনীয় ।

আইওএফএস এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিড ১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এক্ষেত্রে আইওএফএস মডেল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে পারে। তিনি কৃষি ও খাদ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহ্বান জানান।