নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না

আগামী সংসদ নির্বাচন ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা নাহলে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

দুইদিন আগে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় এই হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।

শনিবার মহিলা দলের এক সভায় ফখরুল বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচনের কথা বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধু আপনাকে নির্বাচিত করবে সেই নির্বাচন?

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন একটা হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়।

আর সবার আগে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং একইসঙ্গে মুক্ত করতে হবে যারা কারাগারে আছেন। আর ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে সেই মামলাগুলোকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না এদেশে।

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের উপর জোর দিয়ে ফখরুল বলেন, আপনারা আইন করবেন পার্লামেন্টে যেখানে আর কেউ নেই, কথা বলার সুযোগ নেই বা আপনারা একরতফা আইন পাস করে নিয়ে যাবেন আপনাদের সুবিধার জন্য।

সেই আইনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটাও এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। বর্তমানে সর্বত্র দলীয়করণ চলছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমরা কথা বলতে পারছি না, আমরা লিখতে পারছি না। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা তারা কখনোই বিনা ভয়ে কিছু লিখতে পারেন না। কারণ তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেলা হয় অথবা তাদের বিভিন্ন আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।

এভাবে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনের জন্য মহিলা দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।