জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ড্যাপের উল্লেখিত ভূমি ব্যবহারের শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো যাচাই বাছাই সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কারিগরি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ড্যাপ বাস্তবায়ন রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক জানান, ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব পক্ষের (যেমন- নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থাপত্যবিদ, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং ড্যাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার) সঙ্গে সভা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়েছে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর একটি মন্ত্রিসভা কমিটির সভা আয়োজন করা হয়েছিলো এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, করোনার মহাসংকটের কারণে ইচ্ছা থাকলেও আর মন্ত্রিসভার আয়োজন করতে না পারলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ছোট করে অনেক সভা করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি।

ড্যাপকে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত শেষ করতে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করার জন্য কাজ করছি। দ্রুত শেষ করার জন্য সবাই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। এ শহরের সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এবং বিধি বহির্ভূতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে, যা রাজধানীর সৌন্দর্য মলিন করে দিয়েছে। এ শহরে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয় না।

আবার সরকারি খাল-বিল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। কোনো অবস্থাতেই এসব আর করতে দেওয়া যাবে না। নকশা এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যেসব বিষয়গুলো আমলে নেওয়া দরকার তা পর্যালোচনা করে ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করার পর বাস্তবায়িত হলে ঢাকার অনেক পরিবর্তন আসবে।