দ্বিতীয় দিনের মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি

bnp logo

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে মতামত জানতে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাইকমাণ্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব পর্যায়ের নেতারা।

বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো এ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের মতো বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে বসেন তারা।

বিএনপির একটি সূত্র বলছে, আলোচনায় উঠে আসে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, সংগঠন পুনর্গঠন ও আগামী আন্দোলনের কর্মকৌশল কী হবে।

বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা সময় সংবাদকে জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে হাইকমান্ডের কাছে মতামত তুলে ধরেছেন তারা।

এমনকি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে এবং সেই সরকারের অধীনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা; সেসব বিষয়ে উঠে আসে তাদের বক্তব্যে।

একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

তবে সবার আগে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন, দলীয় প্রধান বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে। সেক্ষেত্রে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলেও মতামত তুলে ধরেন নেতারা।

এছাড়াও জোট শরীক জামায়াত ইসলাম নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী, তা পরিষ্কার করতে হাইকমান্ডের কাছে জানতে চান বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা।

যেহেতু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ছাড়াও বিভিন্ন মহলে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে, সেহেতু এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া জরুরি বলে মত দেন তারা।

বৈঠক থেকে আরও জানা যায়, ডান ও বামপন্থি দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট সম্প্রসারণ করার বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন একাধিক নেতা। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়ার পরামর্শ ছিল তাদের।

সব মিলিয়ে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতি কেমন হবে সেসব বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা।

অন্যদিকে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে আন্দোলনমুখী নেতৃত্বে পুণর্গঠনের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।

রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিএনপি মহাসচিব জানান, এ সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন দিনের বৈঠক নিয়ে গণ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।