তালেবানের সঙ্গে বসার উদ্যোগ ইমরান খানের

imran khan

আফগানিস্তানে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনে উদ্যোগ নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানিয়েছেন, এর অংশ হিসেবে তালেবানের সঙ্গে বসবেন তিনি।

দুশানবে সফরে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ইমরান। জানান, অংশগ্রহণমূলক আফগানিস্তান সরকারে যাতে তাজিক, হাজারা ও উজবেক নৃগোষ্ঠীদেরও প্রতিনিধিত্ব থাকে, সে জন্য তালেবানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন কাউন্সিলের ২০তম সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখন তাজিকিস্তানে। সম্মেলনের ফাঁকে আফগানিস্তান ইস্যুতে তিনি দেশটির প্রতিবেশী ইরান, কাজাকস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ বৈঠক নিয়ে কয়েকটি টুইট করেছেন ইমরান খান। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন ও আমি তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছি।

যাতে করে, আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে তাজিক, হাজারা ও উজবেকদের অংশগ্রহণ থাকে। অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০ বছরের লড়াই শেষে কেবল অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারই শান্তি ও স্থিতিশীল আফগানিস্তানের নিশ্চয়তা দিতে পারে।

আর এটা কেবল আফগানিস্তানের চাওয়া নয়, এটা এই অঞ্চলের প্রত্যাশা। একের পর এক প্রদেশ জয়ের পর গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তান দখলের ষোলকলা পূর্ণ করে তালেবান।

দুই দশক পর আবার আফগানিস্তান দখল করে তালেবান জানায়, তারা ২০ বছর আগের অবস্থানে নেই। সহনশীলতার কথা বলেছিল কট্টর ইসলামী গোষ্ঠীটি। শত্রুদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানায় তারা। সবাইকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আশ্বাস দেয়। সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখারও ইঙ্গিত দেয়।

তালেবানের এসব আশ্বাসের বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তালেবান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, সেখানে বেশির ভাগ সদস্যই পশতু জাতিগোষ্ঠীর; মন্ত্রিসভায় নেই কোনো নারী সদস্য।