বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারিরীক সম্পর্ক করার পর বিয়ে না করে প্রতারণা করায় ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্য’র বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক যুবতী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রেমিক পুলিশ সদস্য’র বিয়ের খবরে তার বাড়িতে অবস্থান নেয় ওই যুবতি। শুক্রবার পুলিশ সদস্যের বিয়ের দিন খন ঠিক হয়েছে আছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ার বাবুল ড্রাইভারের ছেলে পুলিশ সদস্য সম্রাটের কয়েক বছর আগে কুষ্টিয়ায় পোস্টিং ছিল।
সেখানে চাকুরি করার সুবাদে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী শারমিনের সাথে পরিচয় হয়। তাদের মাঝে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।
শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন বন্ধুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে জরিয়ে পরে।সম্প্রতি তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে।
বিয়ের চাপ দিলে সম্রাট নানা তালবাহানা শুরু করে। উপায় না পেয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ দেয় শারমিন। পরে সম্রাটকে বাগেরহাট বদলি করে দেয়া হয়।
সেখানে গিয়েও বিয়ের দাবি করে আসছিল শারমিন। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট গিয়ে শারমিন জানতে পারে শুক্রবার সম্রাটের বিয়ে হচ্ছে। এমন খবরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্রাটের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ায় অবস্থান নেই সে।
এদিকে সম্রাটের পরিবার থেকে বলা হচ্ছে শারমিনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সম্রাটের পিতা বাবলু বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমার ছেলের সাথে যে মেয়েটার সম্পর্ক রয়েছে তার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি মেয়েটা। শারমিনের সাথে সম্রাটের কোন সম্পর্ক নেই বা ছিল না।
আমার ও আমার পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মেয়েটা মিথ্যাচার করছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগেও মেয়েটি এসেছিল। কিন্তু মেয়েটির সাথে পুলিশ সদস্য সম্রাটের সম্পর্কের কোন প্রমাণ সে দিতে পারেনি। মেয়েটি যদি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তার পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।