পেগাসাস স্পাইওয়্যারের কবলে ফ্রান্সের ৫ মন্ত্রী

mobile lifestyle

আবারও শিরোনামে পেগাসাস। অভিযোগ ফ্রান্সের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাওয়া গিয়েছে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অস্তিত্ব।

খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্র ও একটি গোপন গোয়েন্দা নথির বরাতে অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রায় দুই মাস আগে পেগাসাস কেলেঙ্কারির কথা জানা যায়। সে সময় ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ানসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোসহ শীর্ষ ব্যক্তিদের ফোনে এ স্পাইওয়্যারটি রয়েছে এবং সেখান থেকে তথ্য পাচার হচ্ছে।

পেগাসাস ইস্যুতে ভারতের জাতীয় রাজনীতিও উতপ্ত হয়ে উঠেছিল। অভিযোগ, মন্ত্রী-শিল্পপতি, সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। মিডিয়াপার্ট বলেছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে ফ্রান্সের শিক্ষা, আঞ্চলিক সংহতি, কৃষি, আবাসন ও বহির্বিশ্ববিষয়ক মন্ত্রীদের মোবাইল ফোনে।

২০১৯ সালে তাদের ফোনে স্পাইওয়্যারটি দিয়ে নজরদারি শুরু করা হয়। তবে সেই সময় তারা সবাই বর্তমান পদে ছিলেন না। যাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল তারা হলেন- শিক্ষামন্ত্রী জিন মাইকেল ব্ল্যাকুয়ের, সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রী জ্যাকলিন গোরল্ট, কৃষি মন্ত্রী জুলিয়েন দেনরম্য়ান্ডি, আবাসন মন্ত্রী ইমানুয়েল ওয়ারগন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবেস্তেইন লেকরনু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরাসি প্রশাসনের এক পদস্থকর্তা এই পাঁচ মন্ত্রীর ফোনে আড়ি পাতার খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। ইসরায়েলের সাবেক সাইবার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হাত ধরে ২০১০ সালে গড়ে উঠে তেল আবিবভিত্তিক এনএসও গ্রুপ।

তাদের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের অন্তত ৪৫টি দেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।

গত জুলাইয়ে এ মন্ত্রীদের সেলফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানেই স্পাইওয়্যারের সন্দেহজনক উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি এখন একটি দীর্ঘ ও জটিল তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানান ইমানুয়েলের কূটনৈতিক উপদেষ্টা এলি প্যালেস।

এ ঘটনার পর একজন মন্ত্রী তার টেলিফোন নাম্বরাও বদলে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। তবে তদন্তের অন্য অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানাতে রাজি হয়নি প্রসিকিউটরের অফিস।